বিভিন্ন ব্যাংকের ভিতর অবস্থান করে অভিনব কায়দায় গ্রাহকের টাকা চুরি করা চক্রের মূলহোতা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নগরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পুলিশ জানায়, কাঞ্চন মজুমদার নামে এক কৃষক লালদিঘীর পাড়স্থ সোনালী ব্যাংক লালদিঘী কর্পোরেট শাখায় তার ডিপিএস একাউন্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ৩০ জুলাই দুপুর অনুমান ১২ টার সময় এসে দুই লক্ষ নয় হাজার আশি টাকা উত্তোলন করেন এবং কাউন্টারের সামনে টাকা গণনাকালে এক ব্যক্তি তার বাম পাশে টাকা পড়ে গেছে বলে জানালে কাউন্টারের উপর ৩টি ৫০০ টাকার বান্ডিলে নগদ মোট ১,৫০,০০০/- টাকা এবং আলাদাভাবে ৯,০৮০/- টাকা রেখে ও অপর একটি ৫০০/- টাকার বান্ডিল তার হাতে রেখে ফ্লোরের উপর পড়ে থাকা টাকাগুলো তুলে নেন এবং টাকাগুলো নেওয়া শেষে উপরে উঠে দেখেন ৩টি বান্ডেলে মোট নগদ ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা গায়েব। এরপর তিনি কাউন্টারের আশেপাশে সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরবর্তীতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখেন যে, চোরেরা কাউন্টারের উপর থেকে কৌশলে টাকা গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় গত ৭ আগস্ট মামলার রুজু হওয়ার পর পুলিশ ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ঘটনার মূল হোতা আসামী আবুল কালাম, রিপন গাজী ও হারুনুর রশিদ প্রকাশ ইকবাল সহ আরও ২ জন আসামীকে সনাক্ত করে এর পর তাদের গ্রেফতার অভিযানে নেমে লক্ষীপুর জেলার রায়পুরা থানা এলাকা থেকে প্রতারক আবুল কালাম, রিপন গাজী ও হারুনুর রশিদ প্রকাশ ইকবাল’দের গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজত থেকে চুরি করা টাকা থেকে মাত্র ২,৫৪০/-টাকা উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার, পলাতক আসামীদের গ্রেফতার লক্ষ্যে পৃথক ভাবে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও চোরাই টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতার হওয়া আবুল কালাম এর বিরুদ্ধে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা এবং রিপন গাজী এর বিরুদ্ধে খুলনা জেলার রুপসা থানা ও লবনচরা থানায় ২টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির জানান, এই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ওরা ৩/৪ জন গ্রুপ করে বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহক সেজে প্রবেশ করে তারপর পর ব্যাংকে টাকা জমা দিতে কিংবা টাকা উত্তোলন করতে আসা লোকদের মধ্যে তাদের মধ্য থেকে সহজ সরল ধরনের ব্যক্তিকে টার্গেট করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে ব্যাংক হতে চলে যায়। চক্রের পলাতক সদস্যেদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি জাহিদুল।