শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

শারীরিক জটিলতার কারণে আবারও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, রাত নয়টা পর্যন্ত সেখানে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। খালেদা জিয়া নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে কয়েক দিন থাকতে হতে পারে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জুনে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর আবারও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো।

গত বছরের জুন মাসে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা জটিলতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।

আরও পড়ুন