শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, নতুন নির্দেশনা হাইকোর্টের

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল প্রস্তুতের জন্য তার লন্ডনের বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে রিটে নতুন করে সম্পূরক আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানির পর আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

আদালত শুনানির শুরুতে জানতে চান তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি, এর শুনানি হবে কীভাবে? এ সময় রিটকারী আইনজীবী বলেন, ওনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। রিটাকারীর এ জবাবের বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

এ নিয়ে এজলাসে হট্টগোলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে তারেক রহমানকে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায় তার উপায় খুঁজতে হবে।

আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনারা যেহেতু এ মামলার শুনানিতে এসেছেন। এক অর্থে তো আপনারা নোটিশ পেয়ে গেছেন। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের জবাব— তারা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন। নোটিশ পেয়ে নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়।

আরও পড়ুন