কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই ছেলের মৃত্যুর পর তাদের বাবা আনোয়ার হোসেনও (৭৮) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামে। এর আগে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসে তার দুই ছেলে শাহাদাত হোসেন (৫০) ও শহীদুল ইসলাম (২২) মারা যান।
আনোয়ার হোসেনের মেঝ ছেলে মৌলভী মঞ্জুর আলম জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে তার বাবা ও দুই ভাই সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যান। সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুললে বিষাক্ত গ্যাসে তারা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ তার মৃত্যু হয়েছে, বলেন মঞ্জুর আলম।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, ভারী বর্ষণে উজানের ঢলে চকরিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের বসতভিটাও পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকটিতে পানি ঢুকে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
রাতে সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য পরিষ্কার করতে যান শহীদুল ইসলাম। তার সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকে খুঁজতে যান শাহাদাত হোসেন। এরপর দুই ছেলেকে খুঁজতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেন।