ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাজারের বাৎসরিক ওরসে আসা ভক্তরা রেললাইনের ওপর ভিড় করে ছিলেন। এর মধ্যে ট্রেন চলে আসায় তিতাস নদীতে লাফিয়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের খরমপুর কেল্লা বাবার মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হতাহত ও নিখোঁজ সবাই বাৎসরিক ওরসে পিরের মাজারে এসেছিলেন।
এ ঘটনায় নদীতে নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার লাশগুলোর পরিচয় জানা যায়নি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, জিআরপি থানা একটি এবং সাধারণ মানুষ একটি লাশ উদ্ধার করেছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসন বাকিদের উদ্ধারে ব্যস্ততার কারণে গণমাধ্যমে কথা বলতে পারছেন না।
আখাউড়ার খরমপুরের শাহ্ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) শাহ্পীর কেল্লা বাবার মাজারের বাৎসরিক ওরস শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। সকাল থেকেই দেশের নানান প্রান্ত থেকে লাখো ভক্ত আশেকান মাজারে আসতে থাকেন।
ওরস উপলক্ষে মাজারের পশ্চিম পাশে সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ধরে হাজার হাজার আশেকান রেলপথে ভিড় জমান। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রাত পৌনে ৯টার দিকে কেল্লা বাবার মাজারে পশ্চিম পাশে রেলপথ অতিক্রম করার সময় তিতাস সেতুতে থাকা শত শত আশেকান ট্রেন দেখে ছোটাছুটি শুরু করেন।
এ সময় ট্রেনের ধাক্কা ও লাফিয়ে নদীতে পড়ে ৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।