চট্টগ্রামের বন্যায় সাতকানিয়া ও অনোয়ারা উপজেলা থেকে দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে তিন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয়রা। এই তিনজনসহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৬ জনে পৌঁছেছে।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৮ বছর বয়সি এক শিশু, তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপর দুজন হলেন চার বছর বয়সি সানজিদা ও খোকন নামের এক যুবক।
বন্যা, পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার। এই তিনজনসহ এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ জনে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংস্থা ইমার্জেন্সি রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (ইআরসিসি) থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বন্যার কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের চারটি জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, ফেনী) মোট ২০জনের প্রাণহানির তথ্য দিয়েছে।
সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাঙ্গু নদীর ব্রাহ্মণডেঙ্গা এলাকা থেকে ৭-৮ বছর বয়সী এক ছেলেশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহটি উদ্ধার শেষ করে ফেরার সময় চালগাঁও এলাকায় আরেক মেয়েশিশুর মরদেহ উদ্ধারের খবর মেলে। মেয়েটির নাম সানজিদা। নৌকাডুবিতে চারজন নিখোঁজ হয়েছিল, তাদের একজন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।’
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আনোয়ারা থানা এলাকার জুইদন্ডি এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘাট থেকে চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের মো. খোকনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খোকন ৭ আগস্ট সকালে সাঙ্গু নদীর চিড়িংঘাটা এলাকা থেকে বন্যার পানিতে ভেসে যান। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তন্তর করা হয়েছে।