নামিদামি প্রসাধনী কোম্পানির একটি গার্নিয়ার। ফ্রান্সের এই কোম্পানির সব প্রসাধনীর কোম্পানির পণ্য ‘নকল’ করে ঢাকা থেকে এনে রাখা হতো চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালীর আলকরণের একটি আবাসিক ভবনে! এরপর ওই ভবন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করা হতো বিক্রি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযানে ধরা পড়েছে এমন একটি ভেজাল প্রসাধনী তৈরি চক্র।
রবিবার (১৩ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মূল মালিক আনজুমান আরা ধরা না পড়লেও হাতেনাতে আটক করা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মঈনুদ্দিন আকবরকে। পরে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, আনজুমান আরা নামের এক মহিলা ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ‘ইউনিক মার্ট’ নাম দিয়ে এসকল ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে ভোক্তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। ওই আবাসিক ভবনের ৩য় তলার একটি গোডাউন থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার সম্পূর্ণ ভেজাল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। এতে গার্নিয়ার, পন্ডস, ডাবর, ইমামি, হুদা বিউটি বিপুল পরিমাণ ফেস ওয়াশ, স্কীন ক্রিম, শ্যাম্পু, হেয়ার ওয়েল, ফেস প্যাক, মেহেদী, সানস ক্রিম, ম্যাসাজ ক্রিম, আইলাইনার, ফেস পাউডার, স্কার্ভি রোগের জন্য ভিটামিন সি এর ইনজেকশন জব্দ করা হয়। এছাড়া হাইড্রোকুইনিন ও মার্কারির অধিক উপস্থিতির কারণে বিক্রয় নিষিদ্ধ 4K Plus ক্রিম জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই ভুয়া লোগো ব্যবহার করে নিম স্কীন ম্যাসাজ ক্রিম এবং কাবেরী নামের দুটি ফেস ক্রিম বিক্রি করছিল তারা। অধিকাংশ পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ ও মূল্য ছিল না। অভিযানের সময় আসল মালিককে না পেলেও এসকল অপরাধে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মঈনুদ্দিন আকবরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।