রোববার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে পিটার হাস ও দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শহিদুল আলম বলেন, এই দেশে নির্বাচন হয়নি, অনির্বাচিত একটা সরকার রয়েছে। তারা যেভাবে দখল করে আছে তাতে বাংলাদেশের মানুষ নিপীড়িত, বাংলাদেশের মানুষ অত্যাচারিত। সেটা নিয়ে আমরা বলেছি।
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন- আমরা বাংলাদেশের হিরোদের ডেকেছি। আমরা মনে করি যারা প্রকৃত বাংলাদেশি, বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করেছে, বাংলাদেশকে ভালোবাসে এবং যারা বাংলাদেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের আমরা সময় দিচ্ছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব নিয়ে উপস্থিত প্রত্যেকেই কথা বলেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কোনো আলাপ হয়নি।
তিনি বলেন, তারা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের কী অবস্থা, আমরা কীভাবে দেখছি, সেগুলো আমরা যে যার মতো বলেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত নিজে এবং দুজন কংগ্রেসম্যান।
তিনি আরও বলেন, আমি আলাদাভাবে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের কিছু বলিনি। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি কী সেটা উপস্থাপন করেছি। পাঁচবছর আগে আমার ওপর যে অত্যাচার হয়েছিল সেটা যে আইনে হয়েছিল সেই আইন এখন বিলুপ্ত। এখনো পর্যন্ত ট্রায়াল শুরু হয়নি, চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি তারপরেও আমি প্রতিমাসে কোর্টে হাজিরা দিচ্ছি। এটা আইনগতভাবে অন্যায়। এক অর্থে অনেক বড় হয়রানি।
শহিদুল আলম একজন আন্তর্জাতিক ক্ষ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী। ২০১৮ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম একই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।