মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলার কর্মধায় জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলার’ সদস্য সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা। বর্তমানে তাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আছকরাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশায় করে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এর আগে শনিবার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট কর্মধার পূর্ব টাট্রিউলি এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে জঙ্গি আস্তানা থেকে পালানো চিকিৎসক সোহেল তানজিমের স্ত্রীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে তিনটি শিশুও ছিল।
উপজেলার কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ইউনিয়নের আছকরাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। এ সময় সন্দেহ হলে স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভাররা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের আটক করে।
খবর পেয়ে এলাকায় টহলে থাকা পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পরে কয়েকটি সিএনজি যোগে তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয় বলে জানান চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, জঙ্গি দলের প্রধান মাহমুদও এই আটক দলে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রাহেনা আক্তার জানান, তারা অপারেশন হিলসাইডের পর থেকেই পুরো এলাকায় নজরদারি রেখেছেন। তা ছাড়া পুরো এলাকাজুড়ে পুলিশি টহলও জোরদার ছিল। এই জঙ্গিরা অপারেশন হিলসাইডের সময় পালিয়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল।টহল জোরদার থাকায় তারা এলাকা ছাড়তে আজ সকালে বের হয়ে আসে।
জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক জানান, তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অবস্থান করছেন এবং আটককৃতদের ইউনিয়ন পরিষদের একটি বড় হলরুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।