শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

‘মানবিক কারণে’ ছাত্রলীগের ৯ নেতার বহিষ্কার বাতিল চবির

‘মানবিক কারণ’ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের ৯ নেতা-কর্মীর বহিষ্কার আদেশ বাতিল করেছে। রোববার (১৩ আগস্ট) প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার স্বাক্ষরিত চিঠি নেতা-কর্মীদের বিভাগ ও আবাসিক হলে পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত ৩১ জুলাই বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। প্রক্টর এ কমিটির সদস্য সচিব।

ছাত্রলীগের ৯ নেতা-কর্মীরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সমাজতত্ত্ব বিভাগের হাছান মাহমুদ, সংস্কৃত বিভাগের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তনয় কান্তি শিকদার, অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের আরশিল আজিম, ইতিহাস বিভাগের সিফাতুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শোয়েব মোহাম্মদ (আতিক), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাহিদুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের মো. মোবারক হোসেন।

জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মারামারি, কক্ষ ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় নেতা-কর্মীদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি গত ৯ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত নেয়। তারাই আবার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল।

এ সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্ট করার চেষ্টা কররলে কারণ দর্শানো ছাড়াই বহিষ্কার করা হবে তাদের।

সূত্র জানায়, গত ২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় রামদা উঁচিয়ে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা আলোচিত ছিল। এর ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর ছয়জনকে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের নেতৃত্বাধীন বিজয় উপপক্ষের কর্মী। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু তার অনুসারীদেরই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও ফলাফল আটকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। তার অনুসারীদের ক্ষেত্রে কেন এমন হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন। প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় সাবেক প্রক্টর ইচ্ছাকৃতভাবে বহিষ্কার করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, প্রক্টর একা সিদ্ধান্ত নেন না। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ডিন, প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগের সভাপতি নিয়ে গঠিত কমিটির সবাই যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেন।

বর্তমান প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার এ বিষয়ে বলেছেন, বহিষ্কারের পর অনেকেই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরে পুনরায় তদন্ত করা হয়েছে বিষয়টি। যাচাই-বাছাই করে কমিটি আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন