মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কনফারেন্স রুমে খতমে কোরআন ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের পর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র বলেন, জাতির পিতার লড়াই ছিল দেশ স্বাধীন করার লড়াই ৷ বঙ্গবন্ধুর লড়াই ছিল ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ভেবেছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিবে, বাংলার বুকে ওরা ফেরাবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাকে। তবে, ওরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে পেরেছে কিন্তু জাতি ঠিকই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে এককালের বটমলেস বাস্কেট আজ উন্নয়নের রোলমডেল।
এসময় মেয়র দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এবছর প্রথমবারের মতো ৪১ টি ওয়ার্ডের ২০ জন করে মোট ৮২০ জন শিক্ষার্থীকে চসিকের পক্ষ থেকে অনুদান দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র৷ এছাড়া অনুষ্ঠানে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
এর আগে শোক দিবস উপলক্ষ্যে নগরের সদরঘাটের চসিক মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল মান্নান, আবদুস সালাম মাসুম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, শাহীন উল আলম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেন রানা, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেক রাসুল টিপু ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হারুনুর রশিদ।