চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর তাকে কারাগারে বন্দি রাখার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। তার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বহুবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। জিয়া পরিবার ও বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মূল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে সরকার।
তিনি মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বাদে আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একদিকে ডেঙ্গু মহামারী অন্যদিকে দুর্নীতি দুঃশাসনে দিশেহারা দেশের জনগণ। সরকার দেশকে একটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের লাগামহীন লুটপাটের চিত্র আজ সকলের সামনে উন্মোচিত।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। তাঁকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ও বয়স্কা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেল জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। তার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মন্জুর আলম মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ প্রমূখ।