কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়ার পৌরশহরের বায়তুশ শরফ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি চকরিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আবুল ফজলের পুত্র ফোরকান আহমেদ।
চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে ফেরার পথে পুলিশ ও সরকারি গাড়িতে ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এক পর্যায়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এই ঘটনার পর পরই ফোরকান আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। কারণ পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়নি। উত্তেজনার সময় নিজেদের গুলিতে মারা গেছে হয়ত।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলা হওয়া স্বত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, আমরাও খবর পেয়েছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন ঘটনায় মারা গেছে সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ জানান, যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। সাঈদির জানাযা শেষ করে জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তার গাড়িতে ভাংচুর করে। এতে বাধা দিতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্যও আহত হন। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন।