সাতকানিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব বলেন, সাতকানিয়া উপজেলায় প্রায় ৮৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেড় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মাত্র ৩৪টিতে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। অনেক ভবন এখনো একাডেমিক কার্যক্রমের উপযোগী নয়। আবার ক্লাস শুরু করতে বেশি সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম জেলা ছাড়াও বিভাগের কক্সবাজারে ২৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবগুলোতেই ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু হয়েছে। রাঙামাটিতে ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন, আসবাব ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্লাস শুরু করা যায়নি।
এছাড়া বন্যায় চট্টগ্রামে প্রাথমিকভাবে ১৩৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ১৪টি উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ১২টি পরিবারের ছয় লাখ ৩৫ হাজার ১৩০ জন লোক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এর মধ্যে কেবল সিটি করপোরেশনে ৮০০ পরিবারের চার হাজার জন পানিবন্দি ছিলেন।