বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং তাঁর রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১৬ই আগষ্ট) বুধবার বাদে আছর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম।
দোয়া মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু জীবন কামনা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ও দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জীবন দানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
দোয়া মাহফিল পুর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আবু সুফিয়ান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রী। আজীবন গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন সংগ্রাম করা এই মহিয়সী নারীকে এই সরকার অন্যায় ভাবে দীর্ঘদীন ধরে বন্দী রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। দেশের তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী ৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করার পরও সরকার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত নারীর প্রতি আওয়ামীলীগ সরকারের অমানবিক আচরণ লজ্জাজনক। অবিলম্বে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃস্বর্ত মুক্তি দাবী করছি।
প্রধান বক্তা এনামুল হক এনাম বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া” এ দেশের গণতান্ত্রকামী জনতার মূর্তপ্রতীক। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাতে সরকার ভয় পাই। আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখে পুরো দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে। তাদের এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোন অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। দেশের জনগনই দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান এর নেতৃত্বে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অচিরেই মুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।
দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফজল আহমদ চৌধুরী, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবুল ফয়েজ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনির আহমদ সেলিম, মঈনুল আলম ছোটন, সাইফুদ্দীন আহমেদ, হাজী কামাল উদ্দীন, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মাবুদ, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি নেতা – হারুনুর রশীদ চৌধুরী, খলিলুর রহমান বাবু (চেয়ারম্যান), হাজী ইব্রাহিম সওদাগর, মাহবুব রহমান (চেয়ারম্যান), মাহবুব রহমান, আবদুর রহিম, শরীফ উদ্দীন চৌধুরী, আবদুল আলম মেম্বার, হাজী আবদুল মন্নান তালুকদার, মনজুর আলম মনজু, বোরহান উদ্দিন, মফিজুর রহমান, হাজী আবদুল মন্নান, এসএম হাবিব উল্লাহ, সেলিম সিকদার, এডভোকেট আবদুস সবুর, আহমদ কবির চৌধুরী, আবদুল ওহাব মুন্সি, মোঃ জাকারিয়া, বুুলবুল আহমেদ নান্নু, নাজিম উদ্দীন, মোঃ ইব্রাহিম, আবছার উদ্দীন, মিজানুর রহমান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি – মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, জেলা যুবদল নেতা – হামিদুর রহমান পিয়ারু, আল রায়হান সোহেল, নুরুল আলম, সিরাজুল ইসলাম তারেক, গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়াক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরু উদ্দীন সবুজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম নয়ন, শাহাদাত হোসেন, রেজাউল করিম মিজান, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মীর জাকের, জেলা জাসাস সভাপতি নাসির উদ্দীন, উপজেলা যুবদল নেতা – ইয়াসির আরাফাত ইয়াসিন, অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু, পৌরসভা যুবদল নেতা – হাবিবুর রহমান রিপন, এস এম রেজা রিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রিকু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহেদ, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল কাদের, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান চৌধুরী লিটন, জেলা কৃষক দল নেতা ইউসুফ শাহ, শাহাদাত হোসেন পারভেজ, যুবদল নেতা ইকবাল সিকদার সুমন, মোহাম্মদ ইসমাইল, নাসির হাজারী, মোহাম্মদ সোলাইমান, গাজী দুলাল, মহিউদ্দিন ফারুক টিংকু, জালাল উদ্দীন ছোটন, মোজাম্মেল হক, আবদু ছবুর, আলমগীর, আবু তাহের, আবদুল আজিজ, মানিক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানুর রহমান মায়া, ওমর ফারুক সানি, শফিকুল ইসলাম শফি,
ছাত্রদল নেতা রবিউল হাসান সৌরভ, আলী হোসেন, মোহাম্মদ হাবিব, সেকান্দর হোসেন ডেভিড, মাঈনুদ্দীন হাসান শাকিল, মোহাম্মদ ফারুক, হাসান সিকদার, জুলফিকার, মোঃ কায়সার, মুন্না, রমজান, শাহীন, শিবলু, আবদুর রহিম প্রমূখ।