মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় নগরীর বায়েজীদ লিংক রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে দিসটি পালিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁনের সভাপতিত্বে ও আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেফাজুতুল মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধার কণ্যা রাজিয়া খানম প্রিয়া, এডভোকেট এরশাদুল আজম, মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মাহাবুবুর রহমান, সরোয়ার আলম চৌধুরী, মো. আফছারুন্নবী, বিধান চৌধুরী, নাছির উদ্দীন চৌধুরী রতন, ইসমাইল হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, এস এম হাবিব উল্লাহ মো. কালাম ও মো. রাশেলসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারানো সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে মো. আহসান উদ্দিন খাঁন বলেন, সারাটি জীবন যিনি বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীর সুখের কথা চিন্তা করেছেন। যার ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন লাখ লাখ বীর বাঙ্গালী সেই মহান নেতাকেই নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো আমরা আজো পাকিস্তনীদের গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু এদেশের কিছু বিপদগামী অতিলোভী ব্যক্তির লালসা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। জাতির জনককে হত্যার পর দীর্ঘ একুশ বছর বাঙালি জাতিসত্তাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। পুরো জাতিকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনঃর্বাসিত করা হয়েছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা আজো লজ্জিত। হত্যাকান্ডের ৪৮ বছর পরেও তাঁর সকল খুনীদের আইনের আওতায় আনতে পারিনী। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও সেই বিচার সম্পন্ন করতে পারেনি। এটা বড়ই লজ্জার। আমরা আশা করব সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুণীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হউক। তা না করতে পারলে নতুন প্রজন্ম কোনদিনও আমাদের ক্ষমা করবেনা।