চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জীবনকে ঝূঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘ দিন কারাগারে বন্দি রাখার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে তিনি বঞ্চিত হয়ে অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাসা থেকে শুধু এভার কেয়ার হাসপাতাল পর্যন্তই তিনি মুক্ত।সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। এতোদিন দেশনেত্রীকে রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রেখেছে। এখন বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।
তিনি আগামী শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গণমিছিল ও পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১৮ আগষ্ট শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত গণমিছিল ও ১৯ আগষ্ট শনিবার পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্ততি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রস্তুতি সভার পরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে ও নুর আহম্মেদ সড়ক, কাজীর দেউরী মোড়ে লিপলেট বিতরণ করা হয়। এর আগে নগরীর কদমতলী মোড় ও শুভপুর বাস ষ্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে লিপলেট বিতরণ করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এখন দিশেহারা। একটি ডিমের দাম এখন ১৬ টাকা হয়ে গেছে। যেকোনো ১ কেজির দাম ৭০/৮০ টাকা। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ অসহায়। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে সরকার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে কোন পর্যাপ্ত লোকবল নেই। রোগীদের অসহায় অবস্থা। কমদামের চিকিৎসা সরঞ্জাম বহুগুণ দাম বাড়িয়ে ক্রয় করা হচ্ছে। এ হচ্ছে সরকারের চিকিৎসা ব্যবস্থার নমুনা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ক্ষমতাসীনরা লুটপাট ও দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মানুষের সম্পদ চুরি করে বাইরে নেওয়ার হিসাব আগামী দিনে অবশ্যই দিতে হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেশনেত্রীর বিপুল জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনা সহ্য করতে পারেন না বলেই মিথ্যা অভিযোগে সাঁজানো মামলায় তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। কিন্তু জনগণ তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জনগণের সম্মিলিত শক্তি কারাগারের লৌহকপাট ভেঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। উপ মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রশ্নে কৌশল করেছে সরকার। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সরকার।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমুখ।