চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, চিহ্নিত অগ্নি সন্ত্রাসীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং সন্ত্রাস ও সকল অপকর্মের কুলাঙ্গারেরা মাঠে নেমেছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, নাগিনীর বিষাক্ত নিশ্বাস চারদিকে। এই অবস্থায় আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না এবং যেখানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনদূর্ভোগ বাড়ানো হবে বা জানমালের ক্ষতি করবে সেখানেই তৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ২০০৫ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অধীনে পরিকল্পিত সিরিজ বোমা হামলা ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আওয়ামী লীগের জন্ম আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। বিগত ৭৪ বছরে এ জাতির যত সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ কোন অপশক্তির রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করে না। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঐক্যই আমাদের শক্তির উৎসব। যেকোন মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সব সময় মাঠে থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মুরুব্বী এবং পৃথিবীর সকল অঘটন দুর্ঘটনার খলনায়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রশ্ন করি তারা কোন মুখে মানবতা ও গণতন্ত্রের কথা বলেন? তাদের পার্লামেন্টেও তারা সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। আন্দোলনকারীদের মনে রাখা উচিত কোন বিদেশী শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত ১৯৭১ সালে তারা বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর পাঠিয়েও ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং বাংলাদেশের নিশ্চিত স্বাধীনতা অর্জনকে ভূলুন্ঠিত করতে পারে নি। তাদের আরো মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং কখনো আমেরিকার করদরাজ্য ছিল না এবং হবেও না। কারণ আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমরা ক্ষমতাসীন দলে আছি এই মানসিক গঠন প্রকৃতি থেকে সরে আসতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবোই। এই প্রত্যয় ধারণ করতে পারলে কোন অপশক্তি আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। তিনি ১৭ আগস্টের কুশীলবদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, থানা আওয়ামী লীগের মোঃ আবুল মনছুর, মোঃ মঈনুদ্দীন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী আবুল কাশেম, রুহুল আমিন তপন, সাইফুল আলম বাবু, মোঃ ইলিয়াছ সরকার, সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, ইফতেখারুল আলম জাহেদ, লুৎফুল হক খুশি। উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, হাজী মোঃ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ।