বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মানুষ এখন জানাজার নামাজও পড়তে পারে না। সামনে এমন দিন আসবে, আমার মনে হয় শেখ হাসিনা থেকে অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে চাই। আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে বিদায় নেন।
অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না। আজকের আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ
নয়। আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অনুমোদনের আওয়ামী লীগ।
তিনি শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপির রাজনীতিতে জনগণ একতাবদ্ধ। এই সরকার হিংসার কারণে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান উচ্চতর ডিগ্রিধারী। তাদের পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছে। তাকেও মিথ্যা মামলার আসামী করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বুলু বলেন, তারেক রহমানকে ৫০ লাখ মানুষ স্বাগত জানাতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাকে মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে। এই থেকে বোঝা যায়, এটি রাজনীতির হিংসার প্রতিফলন। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রক্ষা হবে না। আপনি খালেদা জিয়াকেও মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে মাফ চাইতে
হবে। এছাড়া আপনার কোনো গতি নেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি। বিজয় আমাদের হবেই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই সরকার মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পারছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিনা ভোটের মেয়র মশার ওষুধ স্প্রে করেছে। কিন্তু এমন ওষুধ কিনেছে, মশা মারা যায় না। সবকিছু দুর্নীতিতে সয়লাব করে ফেলেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার হরণ করে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাই বেগম খালেদা
জিয়াকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর
থেকে ক্ষমতালোভের কারণে জনগণের প্রতি অমানবিক আচরণ করে আসছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খন্ড বিখন্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব
আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয়
শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর,
আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন,
মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।