আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলটি যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
শনিবার (১৯ আগস্ট) টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, টানেলের রাস্তা ও অ্যাপ্রোচ সড়কসহ যাবতীয় কাজই শতভাগ শেষ হয়েছে। শুধু বাকি রয়েছে সার্ভিস এরিয়ার কিছু কাজ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ জানান, টানেলটি যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাবে। টানেল চালু হলে পুরোপুরি বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্র।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুরুতে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীসহ ডলারের দাম বৃদ্ধিতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকায়।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলের কাজ প্রায় শেষ। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং এর মূল দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে একটি ৭২৭ মিটার ফ্লাইওভার থাকছে।