মশা মারার জন্য চসিক যে কেমিক্যাল কিনেছে তা দিয়ে ভাইরাস ধ্বংস হবে না: ডা. শাহাদাত
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক। জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। সরকার জনগণের দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও ব্যাপক দমন নিপীড়ন চালিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সব বাঁধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। গণতন্ত্রের মুক্তি হলেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।
তিনি শনিবার (১৯ আগষ্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কাজির দেউড়ি নুর আহমদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে লাভ লেইন, জুবলি রোড, আমতল, নিউমার্কেট মোড হয়ে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল জুলুম, নির্মম নির্যাতন হয়েছে, তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের অন্যায় চাপে আপস করেননি বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের ঐক্যের প্রতীক। মানুষের আশা ভরসার নির্ভরযোগ্য নেত্রী, তিনি মজলুম দেশনেত্রী। চলমান গণ আন্দোলন সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সরকার ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকার কোন যোগ্যতা রাখে না। ডেঙ্গু কোন ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়, এটা হচ্ছে ভাইরাস জনিত রোগ। মশা মারার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে কেমিক্যাল আমদানি করেছে তা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে, কিন্তু ভাইরাস ধ্বংস হবে না। আমি বলতে চাই, পানির মধ্যে শুধু ক্লোরিং ট্যাবলেট ফেলে দিন, ওই পানিও বিশুদ্ধ হয়ে, ডেঙ্গুর এডিস ভাইরাসও ধ্বংস হয়ে যাবে। ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়েই আমরা ডেঙ্গুকে ধ্বংস করতে পারি। লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে খেয়ে ফেলার জন্য বিদেশ থেকে ওষুধ আনার দরকার নেই।
ডা. শাহাদাত বলেন, গতকাল পত্রিকায় দেখলাম নয়া দিল্লি নাকি আমেরিকাকে কি বলেছে। কিন্তু কিছুদিন আগেতো নয়া দিল্লি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ জনগণ যেটা চায়, নয়াদিল্লিও সেটা চায়। তাহলেতো বাংলাদেশের মানুষ চায়, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এখন নয়া দিল্লিতো বাংলাদেশের মানুষের দাবীর কথাই বলেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্র নিউজ করেছে, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যেটাতে শেখ হাসিনার ক্ষতি হয়। যারা নিউজ করেছে তাদেরকে বলতে চাই, নয়া দিল্লির কোন মুখপাত্র বলেছে সেটা পরিষ্কার করুন। এ ধরনের নিউজ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে রাজপথে আছি।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি। ভোটের নামে প্রহসন নির্বিঘ্নে চালিয়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই আটক করে রেখেছে। শুধু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর নির্মম, নিষ্ঠুর জুলুম নেমে এসেছে।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি, বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জসীম উদ্দীন সিকদার, কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহার, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, আওয়াল চৌধুরী, এডভোকেট আবু তাহের, অধ্যাপক কুতুবউদ্দিন বাহার, অধ্যাপক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, শওকত আলী নুর, সেলিম চেয়ারম্যান, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফসার জুয়েল, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমূখ।