শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

সারাদেশে ২২ আগস্ট ‘অহিংস’হরতালের ডাক সর্বজন বিপ্লবী দলের

জাতীয় সরকারের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশজুড়ে দিনব্যাপী ‘অহিংস’ হরতালের ডাক দিয়েছে প্রকৌশলী ম ইনামুল হকের নেতৃত্বাধীন সর্বজন বিপ্লবী দল। তবে হরতালে সব গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে দলটির আয়োজিত রোডমার্চ ও পথসভায় এই ঘোষণা দেন ম ইনামুল হক।

সোমবার হরতালের বিষয়ে নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সর্বজন বিপ্লবী দলের প্রধান প্রকৌশলী ম ইনামুল হক লিখেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরাতে সর্বাত্মক আন্দোলনে নেমে পড়ুন। কারুর মুখ চেয়ে আর নয়, আগামী ২২ আগস্ট আমাদের ডাকা পূর্ণদিবস অহিংস হরতালে যোগ দিন। বাংলাদেশে ভোটকেন্দ্র দখল, কালো আইন, কালো টাকার নির্বাচন আর নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ৫২ বছরের ইতিহাসে কেবল ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মানুষ বিনা বাধায় ভোট দিতে পেরেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনেই ২০০৯ সালে শেষ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় এসে নির্বাচনী কালাকানুনসহ ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, জাল ভোট ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার হরণ করেছেন। আমরা বিগত ৩০ জানুয়ারি ২০২১ থেকে শাহবাগে প্রতি শনিবার বিকেল ৪টায় জনগণের ভোটের

তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা- বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের ভেতরে বা বাইরে থেকে কারোর স্বার্থে ‘রিমোট কন্ট্রোল’-এ আর নয়। দেশের রাজনীতি হবে জনগণের স্বার্থে, জনগণের ইচ্ছায়। বাংলাদেশ হবে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’। এই দেশে রাজা নেই, তাই কোনো প্রজাও নেই। এই দেশটা কারোর বাপেরও নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশ সবার, সর্বজনের। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, ডিজিটাল আইন বাতিল ও ‘জাতীয় সরকার’-এর অধীনে ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত, কালো আইন, কালো টাকামুক্ত নির্বাচন করার লক্ষ্যে ১৭ দফা রোড ম্যাপ দিয়েছি।

শেখ হাসিনা পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘জাল সংবিধান’ দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না বলে মন্তব্য করে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে ২২ আগস্ট দেশব্যাপী পূর্ণদিবস অহিংস হরতাল পালনের আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন