শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

বিয়ের পর প্রথম বলে উইকেট, যাকে কৃতিত্ব দিলেন হারিস রউফ

স্পোর্টস ডেস্ক

আফগানদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ২০২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৯ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৪২ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। বাবর আজমদের এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন পেসার হারিস রউফ।

রউফ গত জুলাইয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর মঙ্গলবার দেশের হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমেই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন, পেয়েছেন প্রথম বলে উইকেটও। ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার।

এই ম্যাচশেষে পাকিস্তান ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের সঞ্চালনায় একটি টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে রাখা হয় পাকিস্তানের পেস ত্রয়ী হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে।

টকশোতেই হারিস রউফের বিয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করা প্রথম বলেই উইকেটের কথা মনে করিয়ে দেন সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা মোহাম্মদ হারিস। যেখানে এটি শুধু ওয়ানডে নয়, তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরই সেরা বোলিং। অনুমিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও হারিস রউফের হাতেই উঠেছে।

হারিস রউফ কীভাবে সফল হলেন, এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এরা (আফ্রিদি ও নাসিম) নতুন বলে যেভাবে বোলিং করেছে, তা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এরা শুরুতেই যদি উইকেট এনে দিতে পারে, তা হলে আমার চেষ্টাটা থাকে ভালো শুরু ধরে রাখার। পরিকল্পনা ছিল হার্ড লেংথে বোলিং করব।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর জীবনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন আসে। আলহামদুলিল্লাহ আমার স্ত্রী আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।’

ম্যাচসেরার পুরস্কার কাকে উৎসর্গ করতে চান, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হারিস রউফ একটু বিপদেই পড়েন। পরিবারকে ম্যাচসেরার পুরস্কার উৎসর্গ করলেও বাকি তিন সতীর্থ বিশেষভাবে তার স্ত্রীর নামটাই শুনতে চাইছিলেন। তবে হারিস রউফ তার মায়ের অবদানের কথা মনে করে মায়ের প্রতিই ম্যাচসেরার পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দেওয়ার পথে পাকিস্তানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন আফ্রিদি ও নাসিম। ৪ ওভার বল করে আফ্রিদি ৯ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট আর নাসিম ৫ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।

দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া নিয়ে নাসিম বলছেন, ‘প্রথম ওভারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে শাহিন শাহ আফ্রিদি প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন, তাতে অন্য প্রান্ত থেকে কাজটা সহজ হয়ে যায়। আর হারিস যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। বোলিং বিভাগের প্রত্যেকেরই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’

আরও পড়ুন