বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে এসএসসি পাস করেছে এবারের ১৩০ এসএসসি পরীক্ষার্থী। ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী তারা পরীক্ষায় ফেল করেছিল। তবে বোর্ডের ফলাফল ‘চ্যালেঞ্জ’ করে তারা পুনঃনীরিক্ষণের আবেদন করে। সোমবার (২৮ আগস্ট) পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবার ২৬ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৮০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। এবার ফেল থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি। তবে গ্রেড পরিবর্তন হয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬২ জন পরীক্ষার্থী।
গতবারের তুলনায় এবার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বেশি হওয়ায় ফলাফল পরিবর্তনেও ব্যবধান দেখা গেছে। বোর্ড সংশ্লিষ্টদের দাবি, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ দুটোই কম।
এবারে, উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ২৬ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭১ হাজার ১০৮টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ১ হাজার ৮০ জনের। গতবছর যা ছিল ১৮২ জন। তার আগের বছর ছিল ২১২ জন। এর আগের বছর (২০২০ সাল) ৬০৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছিল। তবে এবার ফেল থেকে ফেল রয়ে গেছে কিন্তু নম্বর বেড়েছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। গতবার যেখানে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ জন। একইসঙ্গে ফলাফলে জিপি (গ্রেড পয়েন্ট) বেড়েছে কিন্তু সিজিপিএ বাড়েনি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৯ জনের। যেখানে গতবার এ সংখ্যা ছিল ৫৬ জন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। এবার পাসের হার গতবারের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। ফল পুনঃনিরীক্ষণের পর নতুন ১৩০ জন নিয়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ২১৬ জন এবং গ্রেড পরিবর্তন হয়ে জিপিএ ৫ বেড়েছে ১১ হাজার ৬১২ জন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ সিভয়েসকে বলেন, ‘উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ শেষে ফল পরিবর্তন হয়েছে ১ হাজার ৮০ জন পরীক্ষার্থীর আর ফেল থেকে পাস করেছে ১৩০ জন পরীক্ষার্থী এবং গ্রেড পরিবর্তন হয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬২ জন। গতবার ছিল ২৪ জন। আর এবছর ফেল থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।’