সোমবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

দায়িত্ব নিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়াম ও পরিচালকমণ্ডলীর

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শতবর্ষী প্রাচীন সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের ২০২৩–২০২৫ মেয়াদের নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়াম এবং পরিচালকমন্ডলী গত বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চেম্বারের বিদায়ী সভাপতি মাহবুবুল আলম নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজ–কে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এ সময় চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি, নবনির্বাচিত সহ–সভাপতি রাইসা মাহবুব, নবনির্বাচিত পরিচালকবৃন্দ এ কে এম আকতার হাসেন, মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মো. রেজাউল করিম আজাদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ ও ওমর মুক্তাদির এবং বিদায়ী পরিচালক মো. ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন। চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি বলেন, সারাদেশের অবকাঠামোগত বিনিয়োগের প্রায় ৩৪.৫ শতাংশ হয়েছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের ব্যবসা–বাণিজ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করে এসব উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজ কাঁধে নিয়েছেন। যার ফলে দেশ–বিদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। চিটাগাং চেম্বারের নতুন দায়িত্ব নেয়া পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশের জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব তৈরিতে চিটাগাং চেম্বার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বোর্ডে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা স্ব–স্ব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। বিদায়ী সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের রপ্তানির ৯৫ শতাংশ এবং আমদানির ৮৫ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আগামী দিনে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরকে দেশের অর্থনৈতিক গেইম চেঞ্জার বলা হচ্ছে। ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক কারণে চট্টগ্রামের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এসব কারণে চিটাগাং চেম্বার দেশের অর্থনীতি ও পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। নতুন নেতৃত্বকে অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ব্যবসায়ীদের সার্বক্ষণিক পাশে থেকে চিটাগাং চেম্বারের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান তিনি। নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের সমস্যা চিহ্নিতকরণে গবেষণা ও ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দিব আমরা। আমাদের বোর্ডে প্রায় ১৫–২০টি সেক্টরের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিভিন্ন সাব–কমিটি গঠনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের যেকোন সংকট ও সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন