ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন। কিন্তু তিনি ইনসিকিউরড (নিরাপত্তা শঙ্কা) ফিল করছে এমন কোনো তথ্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কিংবা পুলিশকে জানাননি। এছাড়া আমাদের কাছেও তিনি আসেননি।’
আজ শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘উনি (এমরান আহমেদ) নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মার্কিন দূতাবাসে উনি কেন গিয়েছে তা আমি জানি না।’
তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় অনেকেই সেখানে যান। এরমধ্যে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেখানে (দূতাবাসে) যান। অনেকেই পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম পাওয়া জন্য সেখানে যান। তার নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা থাকলে থানা-পুলিশ কিংবা ডিবির কাছে আসতে পারেন।’
গতকাল শুক্রবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চান। পরে পুলিশি পাহারায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় নিজবাসায় ফেরেন তিনি।
গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দূতাবাসে অপেক্ষা করেছি। আমাকে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। পরে পুলিশ এস্কট দিয়ে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।’
গতকাল বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছি। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে আমাদের বসিয়েছেন।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে সই করবেন না জানিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। এরপর শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সকালে তিনি জানান, এমরান আহম্মদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২–এর ৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগ আদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’