সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

পাহাড়তলীতে ভোটের টাকার দ্বন্দ্বে যুবলীগ নেতা খুনে বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে ভোটের ‘টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জসিমসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার দুইজন হলেন— জসিম উদ্দিন এবং তার ছেলে মোহাম্মদ রাহাত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পিআর) স্পিনা রানী প্রামাণিক। তিনি জানান, পাহাড়তলীতে খুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতে পাহাড়তলী থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাহাড়তলীর সরাইপাড়া এবতেদায়ি মাদ্রাসার সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে যুবলীগ নেতা হোসেন মান্নাকে খুন করে জসিম উদ্দিন। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে হাজি ক্যাম্প ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় নেতা হোসাইন মান্না। কেন্দ্র কমিটির সদস্য ছিলেন জসিম উদ্দিন। ওই কেন্দ্রের খরচের টাকা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জসিমকে চড় মেরে বসেন হোসাইন মান্না। এ নিয়ে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। কয়েকদিন আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা করে দেন।

ঘটনার দিন সকালে পুলিশের একটি দল জসিমের দায়ের করা মামলার তদন্তে হোসাইন মান্নার বাড়িতে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় হোসাইন মান্নার ছেলে অমিত বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিমও তার বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে আসে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে হোসাইন মান্নাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে জসিম। বাবাকে বাঁচাতে এসে গুরুতর আহত হন তার ছেলে অমিতও। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন