প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলেই ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। হার দেখতে হয় ৬ রানের।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। জুনিয়র সাকিবের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতেন জুনিয়র সাকিব। দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আবারও ভারতের লাগাম টানেন জুনিয়র সাকিব। এবার সেট হওয়ার আগেই ফেরান তিলক ভার্মাকে। দারুণ জুটিতে দলকে যখন শুভমান ও রাহুল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন শেখ মেহেদীর আঘাত। দলীয় ৭৪ রানে ৩৯ রান করা রাহুলকে ফেরান মেহেদী। এরপর জুটি বাঁধেন শুভমান ও ইশান কিশান।
৯৪ রানের মাথায় ইশান ফিরলে ব্যাটিংয়ে নামেন সূর্যকুমার যাদব। ১৩৯ রানের মাথায় সূর্য ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ষষ্ঠ উইকেট জাদেজাকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন শুভমান। ১৭০ রানে জাদেজা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন শুভমান। যখন মারকুটে ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন তিনি তখনই শেখ মেহেদীর আঘাত। পরপর দুই বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হৃদয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। অবশ্য ততক্ষণে ১২১ রান করে ফেলেছেন তিনি।
দলীয় ২০৯ রানে শুভমান ফিরলেও ভারতকে কোণঠাসা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অক্ষর প্যাটেল ও শার্দূল ঠাকুর। এই জুটির ৪০ রান হওয়ার পর মোস্তাফিজের বলে ফেরেন শার্দূল। দলের সঙ্গে আর ৫ রান যোগ হতেই ফেরেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা অক্ষর। ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত …
এর আগে, প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিনও শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৫৯ রান তুলতেই টাইগাররা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। একে একে ফিরে যান লিটন দাস, তানজিদ তামিম, এনামুল হক বিজয় এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এরপর সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ১৬০ রানের মাথায় সাকিব ফিরলে ভাঙে ১০১ রানের জুটি। ৮৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রান করে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের সঙ্গে আর ১ রান যোগ হতেই ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখে ফেরেন শামীম পাটোয়ারি।
এরপর ভালোই এগোচ্ছিল হৃদয়-নাসুম জুটি। ১৯৩ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হৃদয় (৫৪) ফিরলে অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন নাসুম ও মেহেদী। ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ২৩৮ রানের মাথায় নাসুম ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নাসুম।