নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যখন ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশন চলছে। অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ছে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় সময়) আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের কাছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্নে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে এনে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিনকে ২ বছরের সাজা হয়েছেছে। এই বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান কী?
উত্তরে মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের বৈঠকে কী উত্থাপিত হয়েছে তা আমরা দেখব এবং হাইকমিশনার যা বলেছেন আমরা তা সমর্থন করি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দুই নেতাসহ বাংলাদেশে মানবাধিকারকর্মীদের আইনি প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
ভলকার তুর্ক বলেন, ড. ইউনূস প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুটি আলাদা বিচার চলছে, যাতে তার কারাদণ্ড হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগে। যদিও প্রফেসর ইউনূস আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন যে, প্রায়শই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তার বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তাতে তার আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি ন্যায্য বিচারের অধিকার ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রসঙ্গ, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।