চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামাত দেশে নাশকতা ও অরাজকতার যে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে সেই পথেই তাদের হটিয়ে দিতে হবে। এই অপশক্তির একমাত্র লক্ষ্য হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করে একটি অনির্বাচিত ও তোষামদি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা ১-১১ এ হয়েছে। আমরা সেই কালো অধ্যায়ে ফিরে যেতে পারি না। আজ বৃস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের বিভাগীয় কমান্ডার জননেতা মরহুম এম.এ মান্নানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের কবর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রয়াত জননেতা মরহুম এম.এ মান্নান রাজনৈতিক কর্মী সৃষ্টির একজন সুনিপুন কারিগর ছিলেন। আজ যারা আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছি প্রায় সকলে তার সৃষ্টি। তার সৃষ্টির সন্তানরা কখনো কোন পরাভব মানে নি এবং সব সময় রাজপথেই জনগণের সাথে অবস্থান নেওয়ার অভিজ্ঞতালব্ধ রাজনৈতিক শক্তি। এই শক্তির কাছে সব সময় দুরাচার পরাজিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই অশুভ শক্তির মূল অনুঘটক বিএনপি। এরা কখনো বাংলাদেশকে স্বীকার করে না, সংবিধান মানে না এবং তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো এদেশকে ছাড়খার করে লুটপাট করা। মাটি ও মানুষের স্বার্থেই এই অশুভ শক্তিকে নির্মূল করা সচেতন দেশবাসীর একটি পবিত্র দায়িত্ব। এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে আমাদের প্রয়াত পূর্বসূরী এম.এ মান্নানের মতো ত্যাগী রাজনীতিকরা আমাদের চেতনার বাতিঘর। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথেই থাকতে হবে। প্রতি রাজপথ পাড়ায় মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থান গ্রহণ এবং জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে ও তাদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আবহ এখন থেকেই তৈরি করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মরহুম জননেতা এম.এ মান্নান এমন একজন রাজনীতিক ছিলেন যিনি শত নির্যাতনের মুখেও কখনো নত হননি। কোন অন্যায় ও দুরাচারের কাছে মাথা না করার শিক্ষাটাই হলো আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় একটি পাঠ। তাই সকল সংকট মোকাবেলা ও উত্তোরণে এই শিক্ষা আমাদেরকে সাহস ও শক্তির প্রেরণা। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, কাউন্সিলর মোঃ গিয়াস উদ্দীন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাইফুল আলম বাবু। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোঃ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, বখতেয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ।
এর আগে সকালে খতমে কোরআন দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।