চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির ভাষায় এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বলে কিছু নেই অথচ তারাই স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে বিদেশী মুরুব্বীদের কাছে জলাঞ্জলি দিতে তৎপর হয়েছে। তারা জানে না এবং ইতিহাসের শিক্ষা গ্রহণ করে না যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কোন পরাজিত শক্তির সাময়িক পুরুত্থান ঘটলেও তা চিরস্থায়ী নয়। বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান এদেশকে পাকিস্তান বানাতে চাইলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার জ্বালা পুষিয়ে নিতে বিএনপি জামাত আমাদের স্বাধীনতার পতাকাকে খামচে ধরেছে। তিনি আজ শুক্রবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানুর ১০ মৃত্যুবার্ষিকী পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টেশ্বরী রোডস্থ বাইতুসালা জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি প্রয়াত জননেতা কাজী ইনামুল হক দানুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, প্রয়াত দানু ভাই তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এত বেশি নির্যাতিত জেল জুলুম খেটে এত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, এমন দৃষ্টান্ত খুব কমই পাওয়া যায়। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর পরই তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। এই বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের দেশপ্রেমিক রাজনীতিক নেতাকর্মীদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমরা কিছুতেই এর পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে কুখ্যাত দালাল ও যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজুর রহমান, ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম বুদ্ধিজীবী হত্যার খল নায়ক মাওলানা মান্নান, মির্জা গোলাম হাফিজ সহ অনেককেই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপি বানিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মহিউর রহমান ও আলী আহসান মুজাহেদী মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদধলীত করেছেন। হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর দালাল মির্জা গোলাম হাফিজের পরিবারের সন্তান মির্জা ফখরুল এখন এদেশের স্বাধীনতা হরনের নতুন মিশন নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাই স্পষ্টতই প্রতিয়মান যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একাত্তরের পরাজিত শক্তিসহ প্রতিক্রিয়াশীল ডান ও হটকারী অতিবাম একমঞ্চে একিভুত হয়েছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে একাত্তরের মতই সম্মিলিত প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কাজী ইনামুল হক দানুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দানু ভাইয়ের মতো সাহসী ও ত্যাগী নেতারাই আমাদের সম্পদ। দানু ভাই শত নির্যাতনের মুখেও কখনো মাথা নত করেননি। তাই তিনি আমাদের সাহসের প্রতীক। স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামা লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোঃ হোসেন, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দীন আহমদ, আনছারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম বাবুল, সৈয়দ মোঃ জাকারিয়া, ইকবাল হাসান, আব্দুল আজিম, নুরুল আমিন তপন, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, এড. সাহেদুল আজম শাকিল, সাইফুল আলম বাবু, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দীন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুর মোস্তফা টিনু প্রমুখ।