বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বলল পুলিশ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই বাংলাদেশের কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুলিশ বলছে, ভিসানীতির বিধিনিষেধে পুলিশ সদস্যরা ভীত নন।

সম্প্রতি ভিসা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি কীভাবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাহিনীর কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব কী হবে– এ ব্যাপারে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে বর্তমান ও সাবেক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলেছেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা গণমাধ্যমে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসানীতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইমেজের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, এটা এখনই বলা যাবে না।’

পুলিশের সাবেক আরেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বিধিবিধান মেনে চলে; মানবাধিকার সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে ভিসানীতি কোনো সংকট তৈরি করবে না। মানবাধিকারের ব্যাপারে সতর্ক থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।

ভিসানীতির কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতির ব্যাপারে বিধিনিষিধের আওতায় থাকবেন– এটা বাহিনীর জন্য কতটা অস্বস্তিকর এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্য ভিসানীতির আওতায় রয়েছেন এমন নয়। বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যরাও আছেন। তবে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় কারা রয়েছেন– এই তালিকা আমরা জানি না। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, ভিসানীতির বিধিনিষেধে পুলিশ সদস্যরা ভীত নন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, পুলিশ বাহিনীর কতজন সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বা ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা রাখেন? এই সংখ্যা খুব অল্প। পুলিশ আইনের ভেতর থেকেই জনগণের জানমাল রক্ষায় কাজ করবে। যেভাবে তারা অতীতে কাজ করেছে।

মার্কিন ভিসানীতি বাহিনীর ভেতরে কোনো বার্তা দেবে কি না– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যরা যখন কোনো দায়িত্ব পালন করে তা আইনি ফ্রেমওয়ার্কে করার চেষ্টা করে। কোনো সময় এর ব্যত্যয় হলে অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নে‌ওয়া হয়। ভিসানীতির ব্যাপারে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ‌ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করতে হয় আমাদের। আগামীতেও তাই করে যাব।

আরও পড়ুন