ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ভবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা শরীফ হাসান। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। সেই ছেলেকে বিয়ে দেবেন ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে। পুত্রবধূকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। শরীফ হাসানের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন তার ছেলে স্বপ্ন সামিউল্লাহ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নেকমরদ আলিমুদ্দিন স্কুল মাঠে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন সামিউল্লাহ।
জানা গেছে, স্বপ্ন সামিউল্লাহ পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে একটি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। তিনি মোবাইল ফোনে গত ২৫ এপ্রিল পাবনার মেয়ে মনতারিন নাসনিন সুইটিকে বিয়ে করেন। সম্প্রীতি ছুটিতে আসেন সামিউল্লাহ। আজ তিনি পাবনায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বউকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বিকেল ৪টায় রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে নেকমরদ আলিমুদ্দিন স্কুল মাঠে অবতরণ করেন।
সামিউল্লাহর বাবা শরীফ হাসান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে সে যদি ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে এবং ডাক্তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারে তাহলে তাকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করাবো। আজকে এই স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে।
সামিউল্লাহর মা বলেন, আমার ছেলে হেলিকাপ্টারে করে বউ নিয়ে আসবে- এটাই তার বাবার স্বপ্ন ছিল। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ছেলে।
সামিউল্লাহর মামা স্কুলশিক্ষক রফিকুল বলেন, এক সময়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিল পালকিতে বিয়ে। কালক্রমে তা হারিয়ে গিয়ে এখন সাধারণত প্রাইভেটকার, বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে বরযাত্রী আসা-যাওয়া করে। এই প্রথম আমি দেখলাম যে জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে বাড়িতে গেলো। এমন শখ খুব কম মানুষেরই আছে।
বর স্বপ্ন সামিউল্লাহ বলেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আজ হেলিকপ্টারে বউকে নিয়ে আসলাম। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।