ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি চ্যানেলের কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
পিটার হাসের এই বক্তব্যের দুইদিন আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসানীতি আরোপ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও এই নীতি প্রয়োগ হতে পারে।
বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এর আগে, গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কেউ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন ভিসা থেকে বঞ্চিত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কিছুতেই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এনিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে তারা আন্দোলন করছে।