‘এয়ারপোর্ট থেকে নেমে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে আসার সময় মনে হয়েছে, এত বাংলাদেশের নয়; ইউরোপের কোনো রাস্তা।’ এই কথাগুলো চিত্রনায়ক রিয়াজের। যা তিনি বলেছিলেন ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রচারণায়।
কথাগুলো যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রিয়াজের বেলায়। চট্টগ্রামে একটু জলাবদ্ধতা দেখা দিলেই তাকে নিয়ে ট্রল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। যা রিয়াজের নজরেও এসেছে। তবে এসব নিয়ে মোটেও বিরক্ত হন না এই চিত্রনায়ক।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়াজ বলেন, ‘চট্টগ্রাম পানিতে ডুবে গেলেই মানুষ আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হাতে মাছ ধরায় দেয়, ট্রল করে। এটা আমার কাছে খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে। তবে একটা কথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে এটা করে ওই মানুষটা যদি আনন্দ পায় তবে পাক। আমি খুব ইতিবাচক মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ কারণেই এটা বলেছি যে চট্টগ্রাম অনেক ডেভেলপ হয়েছে। সেখানে চমৎকার রাস্তা তৈরি হয়েছে, টানেল তৈরি হয়েছে; কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে। আবার এটা ঠিক যে চট্টগ্রামের অনেক রাস্তা আছে, অনেক এলাকা আছে যেখানে অল্প পানিতে ডুবে যায়।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার নিরসনে মেয়র ও দায়িত্বরত ও মেয়রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রিয়াজ বলেন, ‘এটা আমাদের কারো কাছেই কাম্য না। আমরা বলি বীর চট্টলা, এটা একটা পোর্ট সিটি। আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের সব কিছুই চট্টগ্রাম থেকেই আসে। তাই আমি বলব- সেখানে দায়িত্বরত যারা রয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তরিকভাবে যদি কাজ করেন; তাহলে এসব সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।’
সঙ্গে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে একজন মেয়ে মারা গেছে। যখন একজন মেয়ে ড্রেনে পড়ে মারা যায়, তখন এই কষ্টটা ওর ফ্যামিলির বুকে যতটা লাগে, হয়তো আমার বুকে ততটা লাগে না। তারপরও লাগে। আমি এটা নিয়ে কষ্ট পাই, আমি এটা চাই না। এটা আমাদের কাম্য না। আমি বলব, নিচু অঞ্চলগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেখানে দায়িত্বরত যারা আছেন, সিটি মেয়র আছেন, তাদেরকে পজিটিভলি কাজ করতে হবে।’
জলাবদ্ধতার বড় একটি কারণ হিসেবে প্লাস্টিকের বোতলের কথা উল্লেখ করে রিয়াজ বলেন, ‘আগে প্লাস্টিকের বোতল ছিল না। এখন আমরা পানি খেয়ে প্লাস্টিকের বোতল ফেলে দিই। সেসব যায় কোথায়? হাজার হাজার টন প্লাস্টিকের বোতল এসব ড্রেনের মুখে আটকে যায়। তাই এটিও আমাদের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত, আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।