খবরে বলা হয়েছে, সোমবার চীন, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও জার্মানির প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নীতিমালা দেখভাল করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়াকে ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় ১১টি চীনা ও পাঁচটি রুশ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে তাদের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা।
চীনের এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড এবং রাশিয়ার এসএমটি-আইলজিকসহ নয়টি কোম্পানি কালো তালিকাভুক্ত স্পেশাল টেকনোলজি সেন্টারের সঙ্গে কাজ করে। তারা রাশিয়ার মেইন ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট অব দ্য জেনারেল স্টাফের (জিআরইউ) জন্য ড্রোনের যন্ত্রাংশ সরবরাহের পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
রয়টার্স এবং রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেট আইস্টোরিজ লন্ডনের প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় গত বছর একটি তদন্ত শুরু করেছিল। তারা সারা বিশ্বে অরলান ড্রোনের উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে। সবার শেষে তারা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত স্পেশাল টেকনোলজি সেন্টারের তথ্য নেয়।
তদন্তে দেখা গেছে, হংকং-ভিত্তিক রফতানিকারক এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড রাশিয়ার ড্রোন সরবরাহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি সংস্থা এসএমটি আইলজিকের সঙ্গে ফার্মটি মে মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল।
এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করব না।
এর আগে গত মঙ্গলবার তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
ওই দিন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে।
এর আগে ইরানের কাছে ড্রোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগে চীনভিত্তিক পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।