বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চোর হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কেউ আবেদন করলে গ্রীনেসবুক কর্তৃপক্ষ ভোট চোর হিসেবে তাঁদের স্বীকৃতি দেবে। সারা বিশ্বে তারা বন্ধুহীন একঘরে হয়ে গেছে কারণ ভোট চোরদের কেউ বন্ধুর তালিকায় রাখতে চাইনা। সরকারের অপকর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। সরকার এখন লাইফ সাপোর্ট, যে কোন সময় বিদায়ী সাইরেন বেজে উঠবে।
আজ বিকাল ৩টায় নগরীর পাহাড়তলী সাগরিকা স্কয়ারের সামনের মাঠে পাহাড়তলী থানা বিএনপি’র উদ্যোগে আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম অভিমুখে বিএনপি ঘোষিত রোড মার্চ কর্মসূচীর সমর্থনে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করার জন্য ফ্যাসিষ্ট সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। এই এক দফা দাবীতে বিএনপি ঘোষিত আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম অভিমুখে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের রোড মার্চে অংশগ্রহণ করে সবাইকে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপি বিজয়ের মুখোমুখি আর আওয়ামীলীগ পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার কোন সুযোগ আওয়ামীলীগ পাবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে তাঁদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচী ঘেষণা করা হলে সেই কর্মসূচী চট্টগ্রামে সফলভাবে পালনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে আমরা মুক্ত করবো ইনশাল্লাহ।
পাহাড়তলী থানা বিএনপি’র সভাপতি হাজী বাবুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন জিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, এস.কে খোদা তোতন, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, আহমেদুল আলম রাসেল, গাজী সিরাজ উল্লাহ, হাজী নবাব খাঁন, পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া, হালিশহর থানা বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি’র সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি খাজা আলাউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খাঁন, দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ জামাল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আরজু, রামপুর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শরিফুল ইসলাম, শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান, পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জাহেদ মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল হালিম স্বপন প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, সরকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দেওলিয়া হয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসনকে সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে জনগণের চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের অবৈধ আদেশ নির্দেশ মেনে আপনাদের কোন লাভ হবে না কারণ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা পালানোর পথ খুজছে, তারা যে কোন সময় পালিয়ে যাবে কিন্তু আপনাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি পুলিশকে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। চট্টগ্রাম অভিমুখে আগামী ৫ অক্টোবরের রোড মার্চ কর্মসূচীতে গণজাগরণ সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রামবাসী রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানাতে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমরা এক দফা দাবীতে আন্দোলন করছি এবং হাসিনার পতনের মাধ্যমে এক দফা দাবী আদায় করে ঘরে ফিরবো।মীর হেলাল বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে আন্দোলনের সুতিকাগার। চট্টগ্রাম থেকেই হাসিনার পতন ঘন্টা বাজানো হবে।