সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ঠেকাতে দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকতেই হবে- আ.জ.ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের তফসীল ঘোষণা অনুযায়ী যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে যারা বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ রাজপথেই থাকবে। তিনি আজ রোববার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমাদেরকে রাজপথে অবস্থান করতে হবে। যাতে এদেশে আর কোনো স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য এখন থেকে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম শুরু করে দিতে হবে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে এবং প্রতিটি ভোটারের কাছে আওয়ামী লীগের বর্তমান ও বিগত বছরের অর্জন ও সাফল্যের দালিলিক খতিয়ান তুলে ধরতে হবে।

আরো মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মরণ কামড় দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এতে স্পষ্টত প্রতীয়মান আরেকটি অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার মাধ্যমে অসাংবিধানিক পন্থায় পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের নীল নকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলছে। এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কিছু কুলাংগার রাজাকার, যাদের পূর্ব পুরুষরা রাজাকার বাহিনী, আলবদর বাহিনী এবং শান্তি বাহিনীর প্রধান ও তোষামদকারী ছিল তাদের হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই আপনারা মাঠে নামলে আপনাদেরকে ধূলায় মিশিয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের আছে কারণ এদেশটাকে স্বাধীনতা, ভোটের রাজনীতি, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার দিয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, দিদারুল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জোবাইরা নার্গিস খান, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, সৈয়দ আমিনুল হক, কামরুল হাসান বুলু, জাফর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।