বিশ্বকাপের তৃতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। ভারতের ধর্মশালার উইকেটে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার ধারণা থেকে তিন পেসার আর দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল একেবারেই উল্টো। সকল বেলা তার সঙ্গে নতুন বল তবুও সুবিধা করতে পারেনি তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ফলে পাওয়ার প্লেতেই স্পিন আক্রমণে গিয়ে সফলতা পায় টাইগাররা। সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ১৫৬ রানে থামে আফগানরা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৩৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। এতে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৫৭ রান।
আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন এ দুই ওপেনার। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। তবে টাইগার শিবিরে ভয় ধরানো এ জুটিতে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের ৯ম ওভারের সাকিবের আউটসাইড অফের বলটি সুইপ করতে গিয়ে তামিমের তালুবন্দী হন জাদরান। আউট হওয়ার আগে ২২ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর উইকেটে আসেন রহমত শাহ। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাকিবের বলে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
রহমতের বিদায়ে উইকেটে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তবে উইকেটে থিতু হয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। মিরাজের বলে হৃদয়কে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৮ বলে ১৮ করেন তিনি। শাহিদীর পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। মুস্তাফিজের বলে তামিমের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৪৭ করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
উইকেটে থিতু হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরে যান নাজিবউল্লাহ জাদরান (৫)। তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে আফগানরা। তবে চাপ সামলে দলীয় ইনিংস নেয়ার চেষ্টা করেন নবী। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই তামকিনের লেংথ বলে ইনসাইড বোল্ড হন তিনি।
এরপর উইকেটে শুধু আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন আফগান ব্যাটাররা। এ ম্যাচে ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরই স্পর্শ করতে পারেনি। শেষের দিকে ওমরজাই আশা দেখালেও মাত্র ২২ রানেই শরিফুলের বলে বোল্ড হন।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।