চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (সিইআইটিসি) ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস-২০২৩’ উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে র্যালীসহ হাসপাতালে আগত রোগীদের মাঝে চোখের যতœ নেয়ার গণসচেতনতা তৈরির আহ্বান করা হয়। অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের সমস্যা সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। অদ্য ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় সিইআইটিসি চত্ত্বরে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসেন, আইসিও এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, চীফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী, ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, দৃষ্টি দিবস উদ্যাপনের আহবায়ক ডা. মেরাজুল ইসলাম, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. তাহমিনা আক্তার, ডা. সোমা রানী রায়, ডা. তনিমা রায়, ডা. সুইটি বড়–য়াসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, অপটোমেট্রি, প্যারামেডিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
র্যালীতে চোখের ক্রটি, জটিলতা, পুষ্টিহীনতা, অজ্ঞতার কারণে মানুষ দৃষ্টিহীন হওয়ার কথা উল্লেখ করে সাধারণ জনগণকে সচেতন ও অজ্ঞতা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আমাদের সংবেদনশীল অঙ্গগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চোখ। আমাদের সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া চোখের সামান্য সমস্যাও শুধু দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে না, অনেক সময় অন্ধত্বেরও কারণ হতে পারে। আমাদের খাদ্য, শারীরিক পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যায়ামও দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী এবং চোখ সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে কেউ কেউ চোখে চুলকানি বা কোনও ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই জ্ঞানী বা রসায়নবিদদের পরামর্শে চোখে ড্রপ দেন। যা কখনও কখনও দৃষ্টিশক্তি বা চোখের রোগের কারণ হতে পারে। তাই চোখে কোনও ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আগত রোগীদের মাঝে মাঝে চোখের যতœ নেওয়ার জন্য গণসচেতনতা তৈরি, চক্ষু রোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যতœ নেওয়ার তথ্য জানানো হয়।