বিএনপি নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলা গাজার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনায় মামলা মাত্র শুরু হয়েছে। আরও মামলা হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা সবাই মামলা করবে। কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটি এখনই বলতে পারছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের জন্য ১০ লাখ মানুষকে ঢাকায় আসার নির্দেশ দিয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে সেটার নিষেধ ছিল, তারা (বিএনপি নেতারা) শোনেনি সেসব কথা। তারা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছিল সহিংসতা করবে না। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয়, তাদের লোকজন নিরীহ মানুষের ওপর মারমুখী হয়েছে, পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাঙচুর করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে পুরো এলাকায়। তারা পকেটে করে ইটপাটকেল নিয়ে এসেছিল, যা গুলতির মতো করে ছুড়েছে। পুলিশ সেগুলো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর আঘাত করেছে, যা বর্বরোচিত হামলা।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘উগ্র বিএনপিকর্মীদের এসব বর্বরোচিত হামলা গাজার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এসব হামলা ২০১৪ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ১০টির বেশি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও আগুন দিয়েছে, যা জঘন্যতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলো দেশের মানুষ, মারা গেল পুলিশ। এখন আবার তারাই উল্টো হরতাল ডেকেছে। প্রতিবাদ করার কথা আমাদের, তারা এখন উল্টো প্রতিবাদ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হয়েছে, এতে মামলা তো হবেই। যারা গাড়ি পুড়িয়েছেন তাদের নামে মামলা হবে। পুলিশ হাসপাতালে হামলার জন্য মামলা হবে। পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে সেটার জন্য মামলা হবে। মির্জা ফখরুলরা যখন মিটিং করছিলেন, এই দায় কি তারা এড়াতে পারবেন? পুলিশকে যে পিটিয়ে মেরেছে, সে ছাত্রদলের; সেটা শনাক্ত হয়েছে। আর যেন সহিংসতা না হয়, সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। তারা নাশকতা করবে, এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে মারবে, এটা কী করে ভাবব আমরা।’