সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতারের পর তাকে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাকে সাভার থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপধারণ করে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে করা পল্টন থানার মামলায় মঙ্গলবার বিকালে তাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। এখন তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইডেনের কথিত উপদেষ্টার পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে।
এর আগে আজ বিকালেই সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গ্রেফতারের কথা জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে ৩০ অক্টোবর রাতে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, আরেফী আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী), বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে এটি সত্য নয়। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে আরেফীকে উপস্থাপন করেছেন।
তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফী) বলবেন— র্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ও বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘর্ষের পর শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি রঙের শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি ইংরেজি ভাষায় কথা বলছেন। নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা দাবি করা ওই ব্যক্তি সেই ভিডিও নিয়ে খবর প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।