রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)।মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক সব পক্ষের প্রতি এটা স্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি যে, এমন সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। একইসঙ্গে সহিংসতাকে উসকে দেয় এমন বক্তব্য এবং তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে রাজনীতিবিদদের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি।
২৮ অক্টোবর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ওই দিন আনুমানিক ৩০ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় বিক্ষোভকারীরা ছাড়াও মোটরসাইকেলে করে আসা মুখোশ পরা একদল ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন, যারা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ রড, লাঠি, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তারা দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি, নির্বিচার আটক এবং নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যসহ শত শত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই যেন শক্তি প্রয়োগ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাই। শক্তি প্রয়োগ করা হলেও যেন আইনের মূলনীতি, পূর্ব সতর্কতা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে করা হয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিরোধীদলীয় নেতা আত্মগোপনে গেছেন বলে খবর রয়েছে।
বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন পরবর্তীতে বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়।