একটা গল্প বলা যাক। শীতের সকাল। চলছে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বছর পাঁচেকের শিশু আনমনে এঁকে চলেছে সমুদ্রের নীল, তার উপর পেল্লায় এক জাহাজ। তার পর হঠাৎ কী ভেবে যেন জাহাজের পাশে এঁকে ফেলে একখানা ছাই রঙের বেড়াল।
“বেড়াল কেন আঁকলে? বেড়াল কি সমুদ্রে থাকে?”
ওর ঝটপট উত্তর, “থাকে না, কিন্তু ওর তো তখন পানি পিপাসা পেয়েছিল।”
বিচারকরা কি আর এমন উদ্ভট কল্পনাকে প্রশ্রয় দেন? ফলে একখানি সান্ত্বনা পুরস্কারও জুটল না তার।
এই হল শিশুমন। সে মন একরঙা নয়, শুধুমাত্র যৌক্তিক নয়, পুরস্কারলোভীও নয়। সে মন অনায়াসে ছুটে বেড়ায় কল্পনার গলিঘুঁজিতে। নিজের মতো করে যুক্তি সাজায় সে। নিজের জগৎ গড়ে তোলে। বড়দের অতি পরিপক্ব মন, পরিণত বুদ্ধি তল পায় না তার।
সমস্যা হল, আজকাল হারিয়ে যাচ্ছে তাদের কল্পনার পরিসরটুকু, যা এক সময় বড় হয়ে ওঠার এক অতি আবশ্যক শর্ত বলেই মনে করা হত। যদি সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভাবতে না শেখে, কল্পনার ডানা না মেলে, তবে তার নিজস্বতা তৈরি হতে পারে না। সে তখন এক নিখুঁত যন্ত্রমানব হয়, প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে না।
এই ধারণা থেকেই আজ ৩১ অক্টোবর ২০২৩ সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃক আয়োজিত দুইদিনব্যাপী আন্ত:হাউজ বিজ্ঞান মেলা ২০২৩ খ্রি. পরিদর্শন করেন মান্যবর সিএমপি কমিশনার জনাব কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ।
মেলায় অগ্রণী, অনির্বান,অপরাজেয় ও অদম্য- এ চারটি হাউজে ভাগ হয়ে সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। মাধ্যমিক শাখা থেকে শীতলকারী পাখা, মহাসাগর ক্লিনার, স্মার্ট ফার্মিং প্রজেক্টে যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেছেন দিবাকর দত্ত, জুহায়ের আবিদ ও তাসনিম মুশাররাত। কলেজ শাখা থেকে ডায়াস্টার মুক্ত বাড়ি, মিনি রোবট ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার প্রজেক্টে যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেছেন জান্নাতুল নাঈমা, সায়েম আহমেদ ও আবরার ফাইয়াজ।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।