বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার এখনও জোর করছে- সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। কিন্তু সংবিধানের জন্য তো জনগণ নয়, জনগণের জন্যে সংবিধান এবং সেই কারণে আমাদের সংবিধান বারবার লিখিত ও পুনর্লিখিত হয়েছে, প্রয়োজনে আবারও তা হবে। বিএনপির আর পিছু ফেরার সময় নেই।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার করে, হুলিয়া দিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির প্রতিটি কর্মীই নেতার ভূমিকা পালন করে এ আন্দোলনে সফলতা আনবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিএনপি আহূত অবরোধের তৃতীয় দিনের অবসানের প্রাক্কালে গমণাধ্যমে এসব কথা বলেন মঈন খান।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অটল রয়েছি। দাবি আদায়ে রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি। জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা-হামলা, গ্রেপ্তার করে এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করা যাবে না।
মঈন খান বলেন, সরকার গণদাবিকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আবারও একদলীয় সাজানো নির্বাচন করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতে উসকানি দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর ফন্দি নিয়েছে। এসব ধাপ্পাবাজি দিয়ে এবার দেশে-বিদেশে কাউকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। সরকার পতনের একদফা দাবিতে যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।