বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাই গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এদিন দুপুরের পর আমীর খসরু মাহমুদ ও জহির উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, সেটিই প্রথম বানোয়াট মামলা নয়। এ রকম শত শত বানোয়াট গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অভিধানে (ডিকশনারি) গায়েবি মামলা নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের কোথাও এ রকম গায়েবি মামলা নেই।
বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু আদালতকে বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখলের জন্যই বানোয়াট মামলা দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমরা কেন সহিংসতা করতে যাব? আমাদের তো সহিংসতার দরকার নেই। আমরা মহাসমাবেশ ডাকলে লাখ লাখ লোক জড়ো হয়। দুঃখের বিষয় যে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় আদালত, জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। তাদের ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এই মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ লাখ লোক সমাবেশে জড়ো হয়। অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন।