যমুনা ব্যাংক কদমতলী শাখার দায়েরকৃত ৯ কোটি টাকা চেক প্রতারণার মামলায় ইমাম ডাইয়িং নীটিং প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং ইন্ডাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীকে ১ বছরের জেল ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদ- সাজা দিয়েছেন বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ হাসান এর আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ৩০, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সুরাইয়া ম্যানসনের ৪র্থ তলার বাসিন্দা, মরহুম বদিউর রহমান ও মরহুমা হামিদা বেগমের পুত্র এবং ১০, আন্দরকিল্লা, ইমাম গ্রুপ, ফাহিম ম্যানসন ৫ম তলা, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম এর বাসিন্দা। আসামী যমুনা ব্যাংক কদমতলী শাখা হইতে ১৯ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন এবং ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের ০২/০১/২০১২ইং তারিখে ৪ কোটি টাকা এবং ৫ কোটি টাকা সহ মোট ৯ কোটি টাকার দুইটি চেক প্রদান করেন। উক্ত চেক ২টি নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে আসামীর একাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ জমা না করায় তা ডিজঅনার হয়। এন,আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার বিধানমতে বাদী ব্যাংক আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করলে মামলাটি বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এস,টি মামলা নং ২০৪৯/২০১৩ হিসাবে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়। আসামী ইতিমধ্যে মহামান্য উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করলে দীর্ঘদিন মামলাটির শুনানী স্থগিত ছিল। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ বাতিল হলে আদালতে সাক্ষ্য সাবুদ গ্রহণ, দলিলপত্র যাচাই ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামীর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত আসামীকে ১ বছরের জেল ও চেকের সমপরিমাণ ৯ কোটি টাকা অর্থদ-ে দ-িত করেন। বাদী ব্যাংকের পক্ষে মামলা পরিচালন করেন এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মো: বদরুল হাসান, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান, এডভোকেট কে.এম শান্তনু চৌধুরী প্রমুখ।