বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সম্প্রতি ভারতের একটি দৈনিকে জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। অবশ্য টুকুর এই বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে দাবি করছে বিএনপি। একই সঙ্গে তার বক্তব্যের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছে দলটি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কেন বিএনপিকে ভাঙতে মেজর হাফিজকে বেছে নেওয়া হয়েছে জানালেন রনি
রিজভী বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা হিন্দু’তে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সেকুলারিজম, পলিটিক্যাল ইসলাম এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে মতামত প্রদান করেছেন, সেসব বক্তব্য এবং মতামত একান্তই তার নিজস্ব। এর সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মূলভিত্তি হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জনগণভিত্তিক গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সকল ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময় ‘দ্যা হিন্দুতে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল। যে দলটি ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ ব্যবহারের বিরোধিতা করে। উল্টো তিনি ইঙ্গিত দেন, আওয়ামী লীগ সরকারই ইসলামপন্থিদের সঙ্গে নরম আচরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক জোট যেভাবে হয়, ঠিক সেভাবেই জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছিল। সেটা এখন অতীত। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন তোলা উচিত। কেন তিনি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেননি, তার কাছে সেই জবাব চাওয়া উচিত।