জেরিন খান বলিউডের অন্যতম সুন্দরী নায়িকা। ২০১০ সালে ‘ভীর’ সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক তার। এরপরই আলোচনায় আসেন তিনি। মূলত, সালমান খানের হাত ধরেই ওই সিনেমায় নায়িকা হন তিনি। গুঞ্জন আছে, ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর সালমান এমন কাউকে খুঁজছিলেন যে কিনা অবিকল তার মতো দেখতে হবে। সে সময় তিনি পেয়ে যান জেরিন খানের দেখা।
হঠাৎ করে দেখলে যে কেউই জেরিনকে ক্যাটরিনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। সালমানের সঙ্গে জেরিনের প্রথম সিনেমা বেশ প্রশংসিত হয়। তার রূপে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
কিন্তু পরবর্তীতে বেশ কিছু ছবি করলেও জেরিন সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি। অবশেষে ‘হেট স্টোরি-৩’ ছবিতে হাজির হন ব্যাপক খোলামেলা হয়ে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। যার ফলে ‘আকসার-টু’তে ব্যাপক খোলামেলাভাবে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
বরাবরই এই অভিনেত্রীর সাজগোজ ভিন্ন থাকে। একটু আলাদাভাবেই নিজেকে পর্দায় মেলে ধরেন। এবার ঘটেছে এক কাণ্ড।
বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খানের আমন্ত্রণে মুম্বাই যাওয়ার ডাক পান বাংলাদেশের বিউটিশিয়ান নাজিফা তাবাসসুম। নাজিফার সঙ্গে জেরিন খানের টিমের কথা হয়। তার মেকওভার স্টুডিও গ্ল্যাম মেকওভার-এর বিভিন্ন কাজ দেখে বেশ ভালো লাগে জেরিন ও তার টিমের। এরপরই ২ টিমের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে গ্ল্যাম মেকওভারের সাথে অভিনেত্রীর কাজের সূচনা ঘটে।
সম্প্রতি নায়িকার আমন্ত্রণে মুম্বাইয়ে যান নাজিফা। তারপর শুটের জন্য নাজিফার হাতে সাজেন জেরিন। সেই সাঁজের প্রশংসা করে এক ভিডিও বার্তা দেন বলিউডের এই নায়িকা। নাজিফা ও মেকওভারের এবং স্টাইলিং এর প্রশংসাও করেছেন তিনি।
দেশে ফিরে নাজিফা তাবাসসুম বলেন, আসলে আমি সত্যি আনন্দিত যে আমাদের গ্ল্যাম মেকওভার-এর কিছু ব্রাইডাল ও পার্টি মেকআপ লুকস নজরে আসে জেরিন খানের টিমের। তারা সেগুলো বেশ পছন্দ করেন। একসঙ্গে যোগাযোগ করে তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানায়। এরপর আমি আমার টিম নিয়ে মুম্বাইতে যাই। সেখানে জুহুর একটি স্টুডিওতে তার মেকওভার এবং স্টাইলিং করি। আমাদের মেকআপ এবং স্টাইলিং তার খুবই পছন্দ হয়েছে।
অন্যদিকে জেরিন খান বলেন, সবকিছু মিলিয়ে একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা। তাদের কাজ পছন্দ হওয়ায় সত্যি আমি প্রশংসা করছি। এত কম বয়সে এত সুন্দর এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে, এটা সত্যি অনেক প্রশংসনীয় ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জেরিন খানের প্রচুর ভক্ত রয়েছে। তাছাড়া তিনি নিজেও বাংলাশের অনেক অভিনয়শিল্পীর অভিনয়ের প্রশংসাও করেন। যদিও বাংলা তিনি খুব বেশি একটা বোঝোন না তবে সময় পেলে বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ কিংবা ফিল্ম দেখেন। আর তাইতো তিনি বাংলাদেশে আসতে চান। আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই আসবেন বলেও নিশ্চিত করেন।