সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

বিবেকের দায়বদ্ধতা নিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার পক্ষে মন জয় করতে হবে- আ.জ.ম. নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ মানসিকভাবে গণতন্ত্র প্রেমী এবং নির্বাচন মুখী। নির্বাচন ছাড়া কোনভাবেই ক্ষমতার বদল হতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলকে রায় প্রদান করবে তারাই ক্ষমতায় যাবে। আওয়ামী লীগ অবৈধ পন্থায় অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আরোহণ করেনি। বরং বিএনপি অসাংবিধানিকভাবে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সুকৌশলে অবৈধপথে ক্ষমতা দখল করে কিছু উচ্ছিষ্টদের নিয়ে বিএনপি নামক যে দলটি গঠন করেছেন। তার ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল আর আওয়ামী লীগের উৎস জনগণ।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যবস্থাপনায় রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক ভোট প্রার্থনা ট্রেইনার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগ জনতার ব্যালটের রায় নিয়ে ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয় নি। তখন বাঙালি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বাধ্য হয়ে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।

এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কর্মশালার উদ্বোধক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমাদেরকে বিবেকের দায়বদ্বতা নিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যে অর্জনগুলো সাধিত হয়েছে তার ফিরস্তি ভোটারদের জানাতে হবে। পাশাপাশি বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থেকে কি অপকর্ম করেছে সেগুলোও ভোটারদের অবগত করতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বার বার বলা স্বত্ত্বেও এখনো আমরা ৪০ শতাংশ ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে ব্যর্থ হয়েছি।

এই বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে। আমাদের উচিত কমপক্ষে ৮-১০ বার ভোটারদের কাছে যাওয়া এবং তাদের মন জয় করা। এছাড়া সরকারের নানামুখী প্রণোদনায় উপকার ভোগী ৩ কোটি মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সামাজিক সুরক্ষা বলয় উপহার দিতে পারেন। বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এই কষ্ট লাঘবের জন্য ১কোটিরও বেশি পরিবারকে সরকার টিসিবির মাধ্যমে ভুর্তুকি দিয়ে নিত্যপণ্য সরহরাহের পাইপলাইন চালু রেখেছে। এমন নজির পৃথিবীর কোথাও আর আছে কি না আমাদের জানা নেই। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু যায় আসে না। নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি বাধা দিতে আসে তাহলে তাদের নিশ্চিহ্ন হতে হবে। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণে একজন দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ভোট কেন্দ্রে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। কর্মশালার সমন্বয়কারী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন সুফি ফারুক ইবনে আবু বক্কর, সৈয়দ ইমাম বাকের, টিকু চাকমা, জয়জিৎ দত্ত প্রমুখ।

আরও পড়ুন